Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নোত্তর আশ্বিন-১৪২১

মহিদুল ইসলাম

চকোরিয়া


প্রশ্ন : নারকেল কচি অবস্থায় ঝরে যায় কেন?
উত্তর : বাগানের মাটিতে রসের অভাব, রোগ পোকার আক্রমণ, সময় উপযোগী পরিচর্যার অভাব, খাদ্য ও হরমোন ঘাটতির ফলে ফল ঝরে যায়। নারকেল ফল ঝরা রোধের জন্য গাছের গোড়ায় সুসম মাত্রায় জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে। পূর্ণ বয়স্ক অর্থাৎ ১০ বছরের অধিক বয়সের নারকেল গাছে প্রতিবছর গোবর সার ২৫ কেজি, ইউরিয়া ১ কেজি, টিএসপি ৫০০ গ্রাম, এমওপি ২ কেজি, জিপসাম ৩৫০ গ্রাম, জিংক সালফেট ১০০ গ্রাম এবং বরিক এসিড ৩০ গ্রাম দিতে হবে।

সার দুই কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। ১ম কিস্তিতে অর্ধেক সার মধ্য বৈশাখ থেকে মধ্য জ্যৈষ্ঠ (মে) এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে বাকি অর্ধেক সার মধ্য ভাদ্র হতে মধ্য আশ্বিন (সেপ্টেম্বর) মাসে গাছের গোড়ায় থেকে চারদিকে ১ মিটার জায়গা বাদ দিয়ে ১-২.৫ মি. দূর পর্যন্ত মাটিতে ২০-৩০ সেমি. গভীরে প্রয়োগ করতে হবে।

ফারুক হোসেন
যশোর

প্রশ্ন :    মরিচ গাছের গোড়া পচে যাচ্ছে করণীয় কী?
উত্তর : গোড়া পচা রোগে গাছের মাটি সংলগ্ন অংশ কালো হয়ে পচে যায় এবং গাছ মরে যায়।
প্রতিকার হিসাবে বীজ ভালো করে শোধন করে (ভিটাভেক্স ২০০ ঔষধ ২ গ্রাম দিয়ে প্রতি কেজি বীজ শোধন করে নিতে হবে) বুনতে হবে।

বাড়ন্ত গাছে এই রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ব্যাভিস্টিন (কার্বনডাজিম গ্রুপ) গুলে আক্রান্ত জমির গাছের গোড়ার মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে।

মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম
গাইবান্ধা

প্রশ্ন :    মরিচের ক্ষেতে মাকড়ের আক্রমণ দেখা দিয়েছে প্রতিকার কী?
উত্তর : মরিচ উৎপাদনের জন্য ছায়ামুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে।
সেচ প্রয়োগের মাধ্যমে মাকড়ের আক্রমণ অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
গুঁড়া সাবান মিশ্রিত পানি স্প্রে করে আক্রমণ প্রতিহত করা যায়।

আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে মাকড়নাশক (ও মাইট) প্রয়োগ করতে হবে। স্প্রে করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পাতার নিচের অংশ ভিজে যায়। কারণ মাইটগুলো সাধারণত পাতার নিচের দিকে থাকে।

নূর মোহাম্মদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ

প্রশ্ন :    শসার মোজাইক ভাইরাস রোগ দমন পদ্ধতি জানাবেন।
উত্তর : সুস্থ গাছ হতে বীজ সংগ্রহ করে লাগাতে হবে।
রোগাক্রান্ত গাছ দেখামাত্র তুলে বিনষ্ট করতে হবে।
জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
ভাইরাসের বাহক জাবপোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যালাথিয়ন গ্রুপের কীটনাশক ১০-১২ দিন পর পর ৩-৪ বার স্প্রে করতে হবে।

মো. নুরুজ্জামান
নওগাঁ

প্রশ্ন : ধানের মাজরা পোকা দমন পদ্ধতি জানালে খুশি হবো।
উত্তর : মাজরা পোকার আক্রমণ ফুল ফোটার আগে হলে মরা ডিগ এবং ফুল ফোটার পর হলে সাদা শিষ বের হয়।
ডিমের গাদা সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলতে হবে।
আলোক ফাঁদ-এর সাহায্যে পোকা সংগ্রহ করে দমন করা। ৮০ হেক্টর জমির জন্য ১টি আলোক ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে।
ধানের জমিতে ডালপালা পুঁতে পোকা খেকো পাখির সাহায্য নিয়ে দমন করা যায়।
জমিতে শতকরা ১০-১৫ ভাগ মরা ডিগ অথবা ৫ ভাগ সাদা শিষ দেখা দিলে অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

সাইফুল্লাহ খান
বাগেরহাট

প্রশ্ন : পুকুরের পানিতে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য কতটুকু আছে তা জানার উপায় কী?
উত্তর : হাতের তালু পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে বা সেক্কি ডিস্ক (Secchi disk) নামক যন্ত্রের সাহায্যে এই পরীক্ষা করা যায়। হাত কনুই পর্যন্ত ডুবিয়ে যদি হাতের তালু পরিষ্কার দেখা যায় তাহলে পুকুরে মাছের খাবার খুবই কম আছে বলে ধরে নিতে হবে। আর যদি না দেখা যায় এবং পানির রঙ সবুজ থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে পুকুরের পানিতে পর্যাপ্ত খাবার আছে। একইভাবে সেক্কি ডিস্ক যন্ত্রটি ১ থেকে ২ ফুট পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে এই পরীক্ষা করা যায়।

মো. সুমন
লালমনিরহাট

প্রশ্ন : পুঁটি মাছে ঘা রোগের সমস্যার প্রতিকার কী?
উত্তর : পুকুরের পানিতে শতকপ্রতি ১ কেজি চুন ও ০.৫ কেজি লবণ আলাদাভাবে পানিতে গুলে ছিটাতে হবে,
পুকুরের পানিতে শতকপ্রতি ১০ গ্রাম পটাশ সার ছিটাতে হবে,
অতি ক্ষতযুক্ত মাছ পুকুর থেকে তুলে ফেলতে হবে।

আতিকুল ইসলাম
রাজশাহী।

প্রশ্ন : রেণু পোনা প্রতিপালনে ঘনত্বজনিত কারণে পোনা ভাসমান বা দুর্বল, বৃদ্ধি কম হলে করণীয় কী?
উত্তর : পুকুরে সেচ দেয়া বা পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। সম্ভব হলে অন্য পুকুরে পোনা আংশিক স্থানান্তর করা যেতে পারে। সম্পূরক সুষম খাবারের সাথে ভিটামিক্স বা ভিটামিন প্রিমিক্স মিশিয়ে দিনে দুইবার খাবার দিতে হবে। সার হিসেবে প্রতি শতকে গোবর - ৫ কেজি, ইউরিয়া ১০০ গ্রাম, টিএসপি ৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কর্তৃক পুকুর পরিদর্শন করিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।

বিরেণ পাঠক
কুষ্টিয়া

প্রশ্ন : বন্যার পূর্ববর্তী সময়ে মাছ চাষে করণীয় কী?
উত্তর : পুকুরের পাড় শক্ত করে বেঁধে দেয়া এবং পাড়ে গাছ লাগানো।
মাছ চাষের বিভিন্ন উপকরণ যেমন- খাদ্য, সার, ওষুধ ইত্যাদি নিরাপদ স্থানে মজুদ রাখা।
বন্যা পূর্বাভাসের সাথে সাথে সম্ভব হলে নিরাপদ স্থানে মাছ সরিয়ে ফেলা।
চাষকৃত পুকুরের পাড় বন্যার পানি আসার আগেই উঁচু করতে হবে বা বাঁশের তৈরি বানা কিংবা নাইলনের  জালের ঘের দেয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
বন্যার সময়ে পুকুরে গাছের ডালপালা ফেলে রাখতে হবে যাতে মাছ নিরাপদ অনুভব করে এবং আশ্রয় নিতে পারে।
বন্যায় পুকুরের পাড় ডুবে গেলে বন্যার পর মাছ ছাড়ার পূর্বে ঘন ফাঁসের জাল টেনে রাক্ষুসে ও অবাঞ্ছিত মাছ তুলে ফেলতে হবে।
বন্যা/জলোচ্ছ্বাস কবলিত এলাকার পুকুরে পানি সরিয়ে সেখানে নতুনভাবে পানি দিতে হবে।
বন্যার আশঙ্কাপূর্ণ পুকুরে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা করার সুযোগ না থাকলে সময় থাকতেই মাছ বিক্রির ব্যবস্থা নিতে হবে।

এনামুল হক
টাংগাইল

প্রশ্ন : বাছুরের পাতলা পায়খানা হয়েছে, কী খাওয়ানো যায় ?
উত্তর : ১। প্রথম দিন ট্রাইসালফন এস দুটি বোলাস মুখে খাওয়াবেন এবং পরবর্তী দুই দিন একটি করে খাওয়াবেন।
২। দুই প্যাকেট ডায়াভেট পাউডার একসাথে পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন।
৩। প্রতিদিন দুই প্যাক করে ওরস্যালাইন দুই দিন মুখে খাওয়াবেন।

রাজু আহমেদ
পাবনা

প্রশ্ন : গরুর পেট ফাঁপা হয়েছে, এর সমাধান কী?
উত্তর : ১। দুই প্যাক জাইমোভেট পাউডার একসাথে পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন।
২। ১০০ মিলি. নোব্লট সিরাপ একসাথে মুখে খাওয়াবেন।
 

কৃষিবিদ মোহাম্মদ মারুফ
* কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫, মোবাইল : ০১৫৫২৪৩৫৬৯১

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon